March 22, 2023, 12:32 pm

ওপারের ডাকে চির বিদায় নিল রেফারি নিজাম

পুরো নাম নিজাম উদ্দীন খাঁন তবে নিজাম রেফারি হিসাবেই বেশী পরিচিত। এক সময়ের ফুটবল মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো নিজাম রেফারি  সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পারি জমিয়েছেন।

ইয়েস, আউট, কারেক্ট, ভেরি গুড, এটেনশন প্লীজ, কর্নার, ফাউল, থ্রোইং,  গোল ইজ কারেক্ট, নো অবজেকশন।  এই শব্দগুলো আর শোনা যাবে না, দেখা যাবে না মাঠে খেলোয়াড়দের ঈঙ্গিত করে শারিরীক বিভিন্ন অঙ্গি ভঙ্গিতে কসরত প্রদর্শন। রং খেলার কারনে  আর কোনদিন লাল কার্ড বা হলুদ কার্ড প্রদর্শন করবে না।   নওগাঁ  সদর এবং পত্নীতলা, মহাদেবপুর, ধামইরহাট সহ ১১ উপজেলার প্রায় সব  মাঠেই  রয়েছে তার পাদচারণ। ফুটবল মাঠে কোন খেলোয়াড়  থাকবে সেটা বিষয় নয় নিজাম রেফারি  থাকলে দর্শক ভীর জমাতো মাঠের পাশে।

মৃত্যু  কালে তার স্মৃতি চারন করতে গিয়ে নাদৌড় গ্রামের ফুটবল খেলোয়াড়  তপন,খিতিশ, মোতাহার, ফরিদুল, রফিকুল সহ অনেকেই বলেন স্যার খুব ভাল রেফারি ছিল কোন সময় পক্ষপাতিত্ব করতেন না  সব সময় সঠিক রায় দিতেন । তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তারা।  তাদের মত অনেক খোলোয়াররাই বলেন নিজাম স্যার আমাদের অন্তরে অমর হয়ে থাকবে।

নওগাঁর পত্নীতলা-মাহাদেবপুর উপজেলা সীমান্তবর্তী এনায়েতপুর ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দীন খাঁনের ছেলে নিজাম উদ্দীন খাঁন,  শনিবার রাত সাড়ে ১০ টায়  নিজ বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগকরে ইহোলোকের মায়া ছেড়ে  পরোলোকে পারি জমান। তিনি কয়েক বছর  কিডনি রোগে ভূগছিলেন। মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। রবিবার  সকাল ১১ টায় নিজ বাসভবন চকপাড়ায় পরিবার পরিজন আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব ভক্ত শুভাকাঙ্ক্ষী সহ  হাজারো মানুষের অশ্রুসিক্ত শেষশ্রদ্ধা ভালবাসায় সিক্ত হয়ে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত হন।মৃত্যুকালে  স্ত্রী  ছেলে মেয়ে  নাতি নাতনি সহ অসংখ্য গুনগুগ্রাহী রেখে গেলেন।

তার একমাত্র ছেলে মামুন রানা বলেন আমরা অনেক চেষ্টা করেছি চিকিৎসার ত্রুটি করিনি । কিডনি রোগ অনেক ব্যায় বহুল চিকিৎসা  প্রতিমাসে রক্ত দেওয়া ও ডায়ালাইসিস করা  ঢাকা রাজশাহী সহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েছি।উপরওয়ালার ডাকে সারা দিয়ে আব্বা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে, সবাই আমার আব্বার জন্য দোয়া  করবেন।তিনি যেন জান্নাতবাসী হন।

নজিপুর বাসস্ট্যান্ড বনিক কমিটির  সাধারণ সম্পাদক  রক্তের ফেরিওয়ালা খ্যাত এজেড মিজান  বলেন নিজাম মামা অনেক ভাল মানুষ অসুখে পড়লে আমি ৫/৬ বার রক্ত সংগ্রহ করে দিয়েছি। আমি তার মাগফিরাত কামনা করছি।

 

মাসুদ রানা, পত্নীতলা (নওগাঁ)

নিউজটি শেয়ার করুন


© All rights reserved © seradesh.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD