সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুর্গাপুর দলিল লিখক ও স্ট্যাম্প ভেন্ডার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোমেন ইবনে সাঈদ কর্মবিরতি শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে তারা এ কর্মবিরতি শুরু করেন।
মোমেন ইবনে সাঈদ বলেন, আমাদের সাব-রেজিস্টার মহোদয় নিয়মবর্হিভূতভাবে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজসহ যাবতীয় কাজ অফিসের নৈশ প্রহরী কাম ঝাড়ুদার সঞ্জীবন রায়কে দিয়ে করিয়ে আসছেন। এতে সেবা প্রত্যাশীদের নানারকম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ঝাড়ুদারকে দিয়ে তার দায়িত্বের বাইরে অন্য কোনো কাজ না করাতে আমরা সাব-রেজিস্টার মহোদয়কে অনুরোধ করে আসছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের কথায় কোনো কর্ণপাত না করে উল্টো সমিতির সদস্যদের অশালীন ভাষায় গালমন্দসহ কটূক্তি করেন এবং ভেন্ডারগণকে অফিসে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা এরই প্রতিবাদে সমিতির সদস্যরা এক জরুরি সভা করে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি এবং রবিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছি। সাব-রেজিস্টার মহোদয় তার কটূক্তির বিষয়টি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এবং ওই নৈশ প্রহরীকে তার দায়িত্বের বাইরে অফিসের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ থেকে বিরত না করা পর্যন্ত আমাদের এ কর্মবিরতি চলবে।
নৈশ প্রহরী কাম ঝাড়ুদার সঞ্জীবন রায় বলেন, সাব-রেজিস্টার স্যারের কথায় আমি এতদিন অফিসের কাজ করেছি। এখন স্যার আমাকে এসব কাজ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন।
কটূক্তির বিষয়টি অস্বীকার করে দু্র্গাপুর উপজেলার সাব-রেজিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, সপ্তাহে মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার এই তিন দিন দুর্গাপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিলের কাজ চলে। পাশাপাশি মদন উপজেলাতেও আমার দায়িত্ব পালন করতে হয়। দুর্গাপুর অফিসে কর্মবিরতি শুরুর বিষয়টি শুনেছি। সেখানে গেলে প্রকৃত বিষয়টি বুঝতে পারব।
এদিকে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এভাবে একটানা কর্মবিরতি চলমান থাকলে জমি ক্রেতা-বিক্রেতারা চরম বিপাকে পড়বেন। কারণ, দলিল লিখক ও ভেন্ডাররা কাজ না করলে কোনো জমিজমা দলিল রেজিস্ট্রি করাও সম্ভব হবে না। তাই তাদের দাবি, জমিজমা ক্রেতা বিক্রেতা উপজেলার সাধারণ মানুষের সুবিধার লক্ষে দ্রুত বিষয়টি মীমাংসা করে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হোক।