May 28, 2023, 7:24 pm
কারিমুল হাসান, ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ঘুষের টাকা ফেরত পেতে থানায় অভিযোগ করেছেন এমএ তারেক হেলাল নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা। সে এলাঙ্গী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও রাঙ্গামাটি গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে। ভোট বিক্রির নামে টাকা আত্মসাৎ করায় আব্দুল হান্নান নামের এক শিক্ষক প্রতিনিধির বিরুদ্ধে রবিবার রাতে ধুনট থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন এমএ তারেক হেলাল। আব্দুল হান্নান এলাঙ্গী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও দক্ষিণ কান্তনগর গ্রামের মৃত তছের প্রমানিকের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০ মার্চ এলাঙ্গী উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধি পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গোপন ভোটে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামাল পাশা, আবদুল হান্নান ও রুনা লায়লা নির্বাচিত হন।
দায়ের করা অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, এলাঙ্গী উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২৫ মার্চ ৯ ভোটের মধ্যে ৫ ভোট পেয়ে বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। অপরদিকে চার ভোট পেয়ে পরাজিত হন সাবেক চেয়ারম্যান এমএ তারেক হেলাল। তারেক কে সভাপতি পদে তিনটি ভোট দেওয়ার কথা বলে শিক্ষক প্রতিনিধি আব্দুল হান্নান গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কান্তনগর টেকনিক্যাল কলেজ মাঠে চুক্তি করে প্রার্থীর কাছ থেকে ৬ (ছয়) লাখ টাকা নেন বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করে এমএ তারেক হেলাল। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর ভোট না দেওয়ায় নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল হান্নান বলেন, অভিযোগকারীর সাথে আমার কোনো টাকার লেনদেন হয়নি। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে এমএ তারেক হেলাল আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে।
ব্যবস্থাপনা কমিটি নবনির্বাচিত সভাপতি তোজাম্মেল হক বলেন, একজন প্রার্থী মাত্র তিন ভোটের জন্য ৬ লাখ টাকা ব্যায় করার বিষয়টিতে অবশ্যই ঘটনা ও ব্যাক্তি প্রশ্নবিদ্ধ।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী এমএ তারেক হেলাল জানান, আমি বিশ্বাস করে হান্নানকে টাকা দিয়েছি। কিন্তু ভোটে আমার সাথে সে বেঈমানী করেছে। তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন কাউকে মিথ্যা হয়রানি করার জন্য অভিযোগ করিনি। আমার অভিযোগ সত্য। অভিযোগের ভিত্তিতে এটা তদন্ত করার দায়িত্ব প্রশাসনের।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকায় বিষয়টি এখনো রেকর্ড করা হয়নি।