April 1, 2023, 10:57 pm
বগুড়ার আদমদীঘিতে এক গৃহবধূর গায়ের রঙ কালো হওয়ায় তার স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর থেকে শ্বাশুড়ি ও দেবর প্রায় শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছিলো। উপজেলার নসরতপুর গ্রামে ওই গৃহবধূকে শারীরিক নির্যাতনের কারনে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে নির্যাতি গৃহবধূর ভাই আল-আমিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, গত ১১ বছর আগে উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মোজাফ্ফর হোসেনের মেয়ের সাথে নসরতপুর গ্রামের লিটন হোসেনের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি ৯ বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে।
কর্মের জন্য গৃহবধুর স্বামী লিটন হোসেন ৫ বছর আগে মালেয়শিয়া যান। বর্তমানে সেখানেই রয়েছে।
নির্যাতিত গৃহবধু মৌসুমী আক্তারের অভিযোগ, স্বামী বিদেশে যাওয়ার পর থেকে গায়ের রঙ কালোর এমন অভিযোগ এনে তার শাশুড়ী ফেরদৌসী বেগম ও দেবর রায়হান বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার পরিকল্পনা করেন। এরপর থেকে তারা প্রায় শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছিলেন। একপর্যায়ে বুধবার শ্বাশুড়ী ও দেবর মিলে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন। প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেয়ে জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। তবে তার আগেই পুলিশের কাছে যেন মুখ না খোলে এজন্য ওই গৃহবধুকে হত্যার হুমকি দেয় তারা।
পরের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফের তারা ওই গৃহবধূকে পুনরায় মারপিট করে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। শুক্রবার সকালে অহত অবস্থায় ওই গৃহবধূ কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূর ভাই আল-আমিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি :