April 1, 2023, 11:07 pm

News Headline :
খাস জায়গা দখল করে বসবাসের মহোৎসব; উদাসীন কর্তৃপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবেনা..অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া মদন ফায়ার স্টেশনের উদ্যোগে রসুলপুর ফেরিঘাটে নৌ মহড়া মান্দায় প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে ভাংচুরের অভিযোগ সান্দিড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত দুর্গাপুরে বিজিবি‘র গুলিতে নিহত-১, গুলিবিদ্ধ-১ দুর্গাপুরে ভাইস চেয়ারম্যান সাদ্দাম আকঞ্জির ইফতার বিতরণ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন সান্তাহারে ইউপি চেয়ারম্যান তৃপ্তির দেওয়া নতুন পোশাকে ঈদ করবে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ধুনটে খাদ্যনালীতে জর্দা আটকে শিশুর মৃত্যু

উলিপুরে তিস্তা নদীর ভাঙন,বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নে তিস্তা নদীর ভয়াবহ ভাঙনের মুখে চার দিনের ব্যবধানে তিন গ্রামের আড়াই শতাধিক বাড়িঘর বিলীন হয়ে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে মানুষ। তিস্তার প্রবল ভাঙনে বিলিন হয়েছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, দুটি মসজিদ, একটি মন্দির, ঈদগাহ মাঠ, বজরা পশ্চিমপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, পুরাতন বজরা বাজার ও একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বজরা ইউনিয়নের পশ্চিম কালপানি বজরা, কালপানি বজরা ও সাতালস্কর গ্রামের প্রায় দু’কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলমান ভয়াবহ ভাঙনের তীব্রতায় বাড়ীঘরের পাশাপাশি ৫শ বিঘা ফসলি জমিসহ মানুষের শেষ সম্বলটুকুও গ্রাস করেছে তিস্তা। ভাঙনের তীব্রতায় চোখের নিমিষে নদীগর্ভে বিলিনের হাত থেকে বাঁচতে ভাঙন কবলিত এলাকায় দ্রুত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করলেও চেয়ারম্যান-মেম্বাররা শুধু দেখে গেছেন। তাদের নাকি কিছুই করার নেই।দুর্দশাগ্রস্ত ভিটেমাটি হারানো অনেক পরিবার বৃষ্টির মধ্যেই খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

বজরা ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত মোজাম্মেল হক বলেন,তিস্তার ভাঙনে ঘর-বাড়ি হারায়া তিন দিন থাকি খোলা আকাশের নিচে আছি, যাওয়ার কোনো জায়গা নাই। পাশে একজনের বাড়ির আঙিনাত আপাতত আশ্রয় নিচি, পরেকই যামো জানি না।

উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল কুমার জানান,চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের ভাঙন কবলিতদের দ্রুততম সময়ে তালিকা করতে বলা হয়েছে। তালিকা পেলেই সহযোগিতা শুরু করা হবে। এছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আমরা ভাঙনের বিষয়গুলো আপডেট করেছি। বাজেট না থাকায় তারা মুভমেন্ট করতে পারছে না বলে জানিয়েছে। আর খোলা আকাশের নিচে কেউ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,দুই যুগ আগে তিস্তার মূল নদীর স্রোত ছিল এই এলাকা দিয়ে। গ্রামগুলোর উজানে নদী শাসনের ব্যবস্থা নেওয়ায় এখানে হঠাৎ করে ভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা

নিউজটি শেয়ার করুন


© All rights reserved © seradesh.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD