admin
- Sunday, October 16, 2022 / 61 বার পঠিত

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ভাড়া নিয়ে বিতর্কের জেরে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে আবু সায়েম মুরাদ নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে।
ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা বাসচালক ও হেলপারকে গণধোলাই দিয়ে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক রোডে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষুদ্ধ জনতা বাসের চালক সালাউদ্দিন ও হেলপার মোহনকে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
নিহত ওই যুবক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু সায়েম মুরাদ। পরিবারের সাথে দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী শহিদ ফারুক সড়কের একটি বাসায় থাকতেন। পরিবারের দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। মতিঝিলের একটি বায়িং হাউসে চাকরি করতেন মুরাদ।
মুরাদের বড় ভাই আবু সাদাত অভিযোগ করেন, অফিস থেকে গাবতলী ৮ নম্বর বাসে করে বাসার উদ্দেশ্যে ফিরছিলেন তার ভাই। বাসে হেলপার এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে হাফ ভাড়া না নেওয়ায় প্রতিবাদ করেন মুরাদ। এ নিয়ে হেলপারের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। যাত্রাবাড়িতে নামার সময় হেলপার তার ভাইকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তখন ওই বাসের পেছনের চাকা মুরাদের মাথর ওপর দিলে গেলে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান তাঁর ভাই।
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজারুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা সেই বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে যাত্রীবাহী বাসটির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আমরা বাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে এসেছি। ভাড়া নিয়ে তর্কের জেরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিহতের বড় ভাই একটা হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ যাত্রী ও স্থানীয়রা বাসের চালক শাহ আলম ও হেলপার মোহনকে গন পিটুনি দেয়। আমরা জরুরি নম্বর ৯৯৯ কল পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে চালক ও হেলপারকে আহত অবস্থায় আটক করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে (ঢামেক) চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং নিহত ব্যক্তির লাস ওই হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
জবি প্রতিনিধি