March 25, 2023, 7:46 am
কারিমুল হাসান লিখন, ধুনট: বগুড়ার ধুনটে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ ও ভিটেমাটি রক্ষার্থে মানব বনববন্ধন কর্মসুচি হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের শত শত নারী পুরুষ বানিয়াযান গ্রামের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে।
মানববন্ধুন কর্মসুচিতে বক্তব্য রাখেন আমিনুল ইসলাম পলাশ, অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ইয়াকুব আলী , বাবলু মন্ডল, বিপ্লব কুমার ও মিলটন। কর্মসুচিতে তারা বলেন, যমুনা নদীর চৌড়বেড় মৌজার ৪২টি দাগের ৩৬.৯৩ একর সম্পত্তি সরকারী ভাবে বালু মহল ঘোষনা করা হয়। ওই বালু মহল থেকে বালু উত্তোলন করার জন্য বি.আই.ডাবলু.টি. এ থেকে নকসা অনুমোদনের পর বালু মহল নীতিমালার সকল প্রক্রিয়া শেষে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে।আগামী ৩০ চৈত্র পর্যন্ত বালু উত্তোলনের ইজারাদার নিয়েগের জন্য গত ২ অক্টোবর টেন্ডার আহবান করে। যমুনা নদীর ওই বালু মহল থেকে বালু উত্তোলনের জন্য গোসাইবাড়ি এলাকার বেলাল হোসেনকে ইজারাদার নিয়োগ দেওয়া হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ সরকারী বালু মহল চৌবেড় মৌজায় বর্তমানে চর জেগে ওঠায় সেখান থেকে ইজারাদার বেলাল হোসেন বালু উত্তোলন করতে ব্যর্থ হয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পেশী শক্তির জোর দেখিয়ে গত ১৫ দিন থেকে শহরাবাড়ি, শিমুলবাড়ি , বানিয়াযান, কৈয়াগাড়ি ও নিউ সারিয়াকান্দি এই ৫টি মৌজা থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে রাতদিন অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে, যমুনা নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে ২০০২ সালে ৩০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত বানিয়াযান স্পার, প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যায়ে ২০১৬ নির্মির্তি যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষন প্রকল্প (রিভেটমেন্ট), বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ সহ ভান্ডাবাড়ি ইউনিয়নের প্রায় ১০ টি গ্রাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারী বেসরকারী কোটি কোটি টাকার স্থাপনা পড়েছে হুমকির মুখে।
বানিয়াযান গ্রামের আমিনুল ইসলাম পলাশ বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে শহরাবাড়ি, শিমুলবাড়ি , বানিয়াযান, কৈয়াগাড়ি ও নিউ সারিয়াকান্দি সহ ৮টি গ্রামের মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিক্ষুব্ধরা গন স্বাক্ষর দিয়ে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ধুনট থানার ওসি সহ সংম্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনিক ভাবে কোন প্রতিকার মেলেনি। বরইতলী গ্রামের বাবলু মন্ডল জানান, অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে প্রায় ১৫ দিন আগে তাদের গ্রামের সামনে যমুনার ডানতীর সংরক্ষন প্রকল্পের প্রায় ১৫০মিটার এলাকা ধসে গেছে। অপরদিকে ইজারাদার বেলাল হোসেন তার ইজারা নেওয়া চৌবেড় মৌজা থেকেই বালু উত্তোলন করার দাবী করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবোর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ন কবির জানান, সরকার নির্ধরিত বালু মহল ব্যতিত অন্য কোন জায়গায় থেকে বালু উত্তোলন করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।