April 1, 2023, 11:41 pm
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় নবজাতকের ভূমিষ্ঠ হওয়ার খুশিতে মিষ্টি বিতরণ নিয়ে সংঘর্ষে আলমগীর হোসেন নামে কাঠমিস্ত্রি হত্যা মামলার ২ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গুয়াডহরী গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে মিলন মিয়া (২৭) ও আব্দুস সামাদের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৩)। গত বুধবার মধ্যরাতে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
জানা যায় গত মঙ্গলবার রাত ৮টায় ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গুয়াডহুরি গ্রামে এক নবজাতকের ভূমিষ্ঠ হওয়ার খুশিতে মিষ্টি বিতরণ নিয়ে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আলমগীর হোসেন (৪৫) নামে এক কাঠমিস্ত্রির মৃত্যু হয়। কাঠমিস্ত্রি আলমগীর একই গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত আলমগীর হোসেনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেনের নাতনির জামাই সবুর মিয়ার পরিবারের সঙ্গে তাদের পূর্ব থেকেই বিরোধ চলছিল। তিন দিন আগে জাহাঙ্গীরের ছেলের স্ত্রী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এ খুশিতে মঙ্গলবার বিকালের দিকে জাহাঙ্গীরের মেয়ে সবুর মিয়ার বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে যান। কিন্তু সবুর মিয়ার পরিবারের লোকজন মিষ্টি না নিয়ে তাকে মারধর করে। সংবাদ পেয়ে রাত ৮টায় আলমগীর হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন তাদের পরিবারের লোকজন নিয়ে সবুর মিয়ার বাড়িতে যান। এতে সবুর মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে আলমগীর হোসেনসহ ৭ জনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে আলমগীর ও জাহাঙ্গীরের অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টার সময় আলমগীর হোসেনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদি হয়ে ১৩ জনকে আসামী করে ধুনট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন খান জানান, ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী হিসেবে মিলন মিয়া ও শহিদুল ইসলাম কে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। হত্যা মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।
কারিমুল হাসান লিখন, ধুনটঃ