September 23, 2023, 6:55 pm
বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল আলম খান’কে চেক ডিজঅনার (এনআই) আইনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর সোমবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিয়ার রহমান। এর আগে সোমবার দুপুরে নওগাঁ শহরের কাঁচা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার বাদী ও বিবাদীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের দিকে সামসুল আলম খান উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময় হত দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষের মাঝে সহয়াক চাঁদার বিনিময়ে নলকূপ ও স্যানিটেশন (হাইসাওয়া-এসডিসি) প্রকল্পটি তার মানব কল্যান সংস্থা নামে এনজিওর মাধ্যমে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলার ৯৯টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে চুক্তিবন্ধ করে নিজ নামীয় চেক হস্থান্তর করেন। পরবর্তীতে মানবকল্যান সংস্থার বিরুদ্ধে প্রকল্পের নামে অবৈধভাবে সাধারণ মানুষের কাছে থেকে চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগ এনে মামলা করেন নওগাঁ -৩ আসনের ( বদলগাছী – মহাদেবপুর) সাবেক সংসদ সদস্য ড. আকরাম হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী মায়া চৌধুরী। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটি বাতিল হলে আট লক্ষ পাওনা দাবি করে বলিহার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার মুহাম্মদ হাতেম আলী ২০১৬সালে আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেই চলামান মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলে সামসুল আলম খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল আলম খানের ছোট ভাই বিদ্যুৎ হোসেন বলেন, এই মামলায় নিম্ন আদালত আমার ভাইয়ের পক্ষে রায় দিয়েছিল। পরবর্তীতে বিবাদী উচ্চ আদালতে আপিল করলে আমার ভাইয়ের কাছে নোটিশ আসে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য। পেশাগত কাজে ব্যস্থতার কারণে সঠিক সময়ে হাজিরা দিতে না পারায় আদালত এক পক্ষ রায় দিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। আশা করছি আইনিভাবে আমরাই জয়ী হবো।
মামলার বাদী নওগাঁ সদর উপজেলার বলিহার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার মুহাম্মদ হাতেম আলী বলেন, ২০১৩সালে সামসুল আলম এর সাথে আমার ব্যবসায়ীক লেনদেন ছিল। পরে আমার পাওনা টাকা পরিশোধ না করার কারণে আদালতে মামলা দায়ের করি। সেই মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে বলে জেনেছি।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিয়ার রহমান বলেন, চলতি মাসের ১৬ তারিখে আদালত থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল আলম খানের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নোটিশ থানায় আসে। এর পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর মডেল থানার সহযোগিতায় সোমবার দুপুরে নওগাঁ শহরের কাঁচা বাজার এলাকা থেকে তাকে প্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।