March 24, 2023, 8:25 am
বগুড়ার আদমদীঘিতে বিয়ের মাত্র ৬ মাস পর সৈয়দা সারাহ্ প্রিয়াসা (২৩) নামের এক গৃহবধূর গলায় ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রিয়াসা উপজেলার ডহরপুর গ্রামের নাসরুল্লাহ হক ঐক্যের স্ত্রী। রবিবার দুপুরে নিহতের লাশ মর্গে প্রেরন এবং গৃহবধূর স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এদিকে নিহত প্রিয়াসার পরিবারের দাবি তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী ঐক্যেকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানিয় সূত্রে জানা যায়, আদমদীঘি রহিম উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক আনোয়ারুল হক পল্টুর ছেলে নাসরুল্লাহ হক ঐক্যের সাথে নওগাঁর চাকলা বক্তারপুর গ্রামের জসিম উদ্দিনের মেয়ে সৈয়দা সারাহ্ প্রিয়াসার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে গত ১১ এপ্রিল তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর থেকে নানা কারনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যেও মনমালিন্য চলে আসছিল। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় স্বামীর বাড়ি ডহরপুর গ্রামে ওই গৃহবধূর শয়ন ঘরের ফ্যানের সাথে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত প্রিয়াসার মা ইয়াছমিন জানান, পারিবারিক কলহের কারনে তার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা করেছে বলে চালানো হচ্ছে। তবে গৃহবধূর চাচা শ্বশুর আনিছুল হক নান্টু জানায়, বিকেলে গৃহবধূকে তার স্বামী বেড়াতে নিয়ে না যাওয়ায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছে।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা জানান, মৃত্যুটি রহস্যজনক হওয়ায় গৃহবধূর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে ওই গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করেছে।
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি