March 26, 2023, 4:07 pm
বগুড়ার সান্তাহারে পাওনা টাকার জের ধরে মাইন নামের এক যুবককে অপরহন করে মারপিট ঘটনায় তিন জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে বগুড়া কোর্টে মামলাটি করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, নওগাঁ সদর উপজেলার আরজী নওগাঁ মধ্যপাড়ার মৃত কিনার উদ্দিনের ছেলে আলতাফ হোসেন (৬৫), তার ছেলে ইমাসির আরাফাত ফাহিম(৩৫) ও ধামকুড়ী গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল জোয়াদ (৬১)।
মামলা ও স্থানিয় সূত্রে জানাযায়, গত ২০১৬ সালের ১২ এপ্রিল আসামী আলতাব হোসেন ব্যাংক ম্যানেজার থাকা অবস্থায় মামলার বাদী মাইনের বাবা ও উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকার ব্যবসায়ী ফজলুল হকের নিকট থেকে ৩০ লাখ টাকা কর্জ (ধার) স্বরূপ গ্রহন করেন। নানা কারনে সেই টাকা সময়মতো পরিশোধ করিতে না পারায় চলতি বছরের ১৪ জুলাই তিনি ৩টি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার করেন ৩০ জুলাই সকল টাকা পরিশোধ করবেন। অথচ তা না করে ২৯ জুলাই আসামী আলতাফ ও তার ছেলে ফাইমসহ আরো কয়েকজন যুবক মোটরসাইকেলযোগে বাদীর বাড়ির সামনে এসে অঙ্গীকারকৃত স্ট্যাম্প ফেরত চেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। শুধু তাই নয়, ২-৪ দিনের মধ্যে স্ট্যাম্প ফেরত না পেলে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে ব্যবসায়ী ফজলুল হক সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়িতে তাদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টায় আসামী আলতাফ ও তার ছেলে কতিপয় যুবককে সাথে নিয়ে ফের বাদী মাইনকে বাড়ির দরজার সামনে থেকে গামছা দিয়ে চোখ মুখ বেঁধে মাইক্রোবাসযোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এরপর তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করলে তার ডান হাতটি ভেঙে যায়। পরে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখালে মাইন তার মাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি খুলে বলেন। ছেলেকে বাঁচাতে তড়িঘড়ি করে তার মা এক লাখ টাকা ও একটি চেক নিয়ে তাদের কাছে হাজির হন। ছেলেকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আদমদীঘি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। আসামী আলতাফ হোসেন বলেন, লেন দেন নিয়ে ঝামেলা রয়েছে ঠিক কিন্তু তাকে অপরন করা হয়নি। তবে এর আগে একটি ঝামেলায় র্যাবের কাছে অভিযোগ করেছিলাম, র্যাব বাসায় গেছিলো কিন্তু তারদের কাউকে পায় নি।
এ বিষয়ে সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক রকিব হোসেন বলেন, আলতাব ও তার ছেলে ফাইমসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ফজলুল হক আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। তবে কোনো মামলা হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে জানা নেই।
আদমদীঘি প্রতিনিধি, বগুড়া